দক্ষিণ দিনাজপুর: চার বছর আগে কুমারগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অবশেষে মিলল ন্যায়বিচার। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সন্তোষ পাঠক চাঞ্চল্যকর এই মামলার তিন অভিযুক্ত — মহবুর মিয়া, পঙ্কজ বর্মন এবং গৌতম বর্মনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। জরিমানা না দিলে আরও তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।এর আগের দিন আদালত তিনজনকেই দোষী সাব্যস্ত করেন।
সরকারি আইনজীবি ঋতব্রত চক্রবর্তী জানান, ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি বিকেলে কুমারগঞ্জ বিধানসভা এলাকার এক নাবালিকা বাড়ি থেকে বাজারে ‘শাল’ কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ জানানোর পরও রাতভর খোঁজ চালিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন সাফানগর বেলখোর এলাকার একটি কালভার্টের নিচে স্থানীয়েরা একটি অর্ধদগ্ধ, ক্ষতবিক্ষত, অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ তদন্তে প্রথম বড় অগ্রগতি আসে একটি দোকানের চাদর বিক্রির রসিদ থেকে। সেই রসিদকে সূত্র ধরে মাত্র এক দিনের মধ্যেই গঙ্গারামপুর ও তপন এলাকার তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারাই মোটরবাইকে তুলে নিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে দেহে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছিল।চার বছর পর আদালতের রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন মৃতার পরিবার ও স্থানীয়রা।








